Editors Picks

Tuesday, July 18, 2017

অাওয়ামীলী‌গের সাধারন সম্পাদক ওবা‌য়েদুল কা‌দের‌কে স‌ঠিক জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদ‌লের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক মুন্না

ডিয়ার ওবায়েদুল কাদের, পালানোর ইতিহাস তো আপনাদের!

একাত্তরে জাতিকে অরক্ষিত রেখে আপনারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভেগেছিলেন। হ্যাঁ যুদ্ধ করেছিলেন বটে আপনারা, সীমান্তের ওইপাড়ে,  আপনাদের যুদ্ধ করার জন্যে আলাদা একটা সেক্টরই গঠিত হয়েছিল, সোনাগাছী!

পঁচাত্তরে শেখ মুজিবের মৃত্যুর পরেও আপনারা পালিয়েছিলেন। নেতার লাশের পাশে আপনাদের পাওয়া যায়নি, পাওয়া যায়নি নেতার জানাযায়। আপনাদেরই আরেক নেতা তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ শেখ মুজিবকে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে বাংলাদেশ যখন ভয়ংকর এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি আপনার নেত্রী তখন সীমান্ত লক্ষ্য করে ভোঁ দৌড় লাগিয়েছিলেন। এই দেশের জনগণের কথা ভাবেননাই।

নব্বইয়ের উত্তাল গণ আন্দোলনের দিনগুলোতেও আপনারা আপোষকামীতার ভূমিকা নিয়েছিলেন। দিনে আন্দোলন আর রাতে এরশাদ, এই ছিলেন আপনারা। লাল দীঘির জনসভায় আপনাদের নেত্রী আঙ্গুল উঁচায়া ঘোষণা দিয়েছিলেন- এরশাদ শাহীর অধীনে যে নির্বাচনে যাবে সে হবে জাতীয় বেঈমান!

তারপরের দিন এরশাদের সাথে লংড্রাইভ, আন্দোলনের মাঠ থেকে পালিয়ে গিয়ে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে আপনারাই গিয়েছিলেন।

এক এগারোর দুই উদ্দিনের ক্যামোফ্লেজ সামরিক শাসনের সময় আপনাদের নেত্রীই আপোষ করে কানের চিকিৎসার নাম করে দেশ ছেড়ে ভেগেছিলেন।

সেইদিন খালেদা জিয়া কি বলেছিল জানেন? এইটা আমার দেশ, এই দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাবোনা।

মূলত: খালেদা জিয়ার আপোষহীন মনোভাবের কারণেই সেই সময়ে 'মাইনাস টু' ফর্মুলা ভেস্তে যায়। আপনার নেত্রীও দেশে ফেরার সাহস পেয়েছিলেন।

আপনাদের আন্দোলনের ফসল দুই উদ্দিনের করা আপনাদের নেত্রীর মামলাগুলো আপনারা তুলে নিয়েছিলেন। রেখে দিয়েছেন খালেদা জিয়ার মামলাগুলো।

খালেদা জিয়া সেই মামলাগুলো মোকাবেলা করছেন। এই বয়সেও প্রায় প্রতি সপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন উনি।

....

পালাবার সংস্কৃতি আপনাদের, বিএনপির না। বিএনপি লড়ে যাচ্ছে, বিএনপি লড়বে। বিএনপি দেশের মানুষের পাশে থাকবে।

খালেদা জিয়া ভাঙ্গবেন কিন্তু মচকাবেন না। আপোষে জেলে বসে মুরগির রানও চিবাবেন না।facebook page

No comments:

Post a Comment

Comments System

Disqus Shortname