কুমিল্লা তিতাস: কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মাছিমপুর আর আর ইনস্টিটিউশনের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে তুঘলকী কান্ড।
ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এক দল স্বার্থানেষী মহল চাইছে নিজেরা আতাত করে পকেট কমিটি করে স্কুল পরিচালনা করতে। জনমনে তাদের এই উদ্দেশ্য নিয়ে চলছে নানা মুখরোচক আলোচনা। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় তাদের সিন্ডিকেটের লোকেরাই কেবল আবেদন ফরম কিনতে পারছেন। তাদের কোরামের বাইরে কেউ মনোনয়ন ফরম কিনতে গেলেই তাদের বাঁধা দিচ্ছে।
তাদের ৫০-১০০ জনের একটি দল সারা বাজারে এবং স্কুল গেইটের সামনে দিচ্ছে মহড়া এবং টহল। স্কুল প্রবেশের গেইটে দিয়ে দিচ্ছে তালা।
অন্য কোন গ্রামের কেউ যাতে ফরম কিনতে না পারে সেই জন্য রয়েছে তাদের এক দল পেটুয়া বাহিনী, যারা রয়েছে সতর্ক পাহারায়। লাটিসোটা, হকিস্টিক নিয়ে পুরো বাজারে মহড়া দিচ্ছে।
সর্বোপুরি এক ভয়ানক আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান এলাকার শান্তি প্রিয় জনগণ।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় বিগত নির্বাচনে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন এবং এবার তিনি ফরম কিনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন কিন্তু কে বা কারা তাকে মনোনয়ন ফরম না কিনতে হুমকি দিচ্ছেন বলেন জানান। নাগেরচর গ্রামের মনির হোসেন ভূইয়া (সাবেক মেম্বার) তিনিও ভয় পাচ্ছেন ফরম কিনতে। ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শাহ আলম মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়েও পরে পিছু হটেন অজানা ভয়ে।
এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার মকিমা বেগম বলেন বিষয়টি আমার কানে এসেছে। আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বলে দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। এলাকার শান্তি শৃংখলা যাতে বজায় থাকে আমরা সেই ব্যবস্থাই গ্রহণ করব।
স্কুল পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি, যুবলীগ নেতা এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুন্সী বলেন, বাঁধা দেওয়ার কথা আমিও লোকমুখে শুনেছি। শুনে আমি তাৎক্ষিক ছুটে যাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। কিন্তু কাউকে দেখিনি লাঠিসোটা কিংবা বাঁধা দিতে। যদি কেউ ফরম কিনতে চায় তাহলে আসতে বলবেন আমি আগামীকাল থাকবো দেখি কে বাঁধা দেয়। যার কিনতে মন চায় সেই কিনবে। আজকেও আমি বসে থেকে ফরম বিক্রয় করেছি। নির্বাচন নিয়ে নোংরা রাজনীতি করতে দেয় হবে না। এটা স্কুল, রাজনীতির জায়গা নয়।
তিতাস উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি ভূইয়া বলেন এটা একটা নরমাল বিষয়। স্কুল নির্বাচন এখানে বিএনপি আ’লীগ বলে কিছু নেই। যারা আগ্রহী আছেন তারা ভোটের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আসবেন। তবে একদল লোক প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন মহলকে বুঝাতে চাইছেন যে, বিএনপির লোক প্রার্থী হলে আমাদের আর মূল্য কই থাকে ? স্কুল নির্বাচনে দল বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হাসান মাহমুদ অপু জানান আমারা চাই শান্তি। স্কুল নির্বাচন হবে অভিভাকরা ভোট দিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন করবে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহফুজুর রহমান চৌধুরী বলেন,বাইরের পরিবেশ নিয়ে তো আমি মন্তব্য করতে পারব না। কারণ আমার কাজ স্কুলের গন্ডির মধ্যে। স্কুলের ভিতরের পরিবেশ ভালো, কোন সমস্যা নাই। তিনি আরো জানান গতকাল ৫ জন এবং আজ ৩ জন প্রার্থী ফরম সংগ্রহ করেছেন। গতকাল যারা সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন বিল্লাল হোসেন, এমদাদ হোসেন মোল্লা, ডালিম ভূইয়া, ফারুক সরকার এবং শিপন সরকার। আজ যারা ফরম সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন ইকবাল হোসেন বাবুল, মাজহারুল ইসলাম ভূইয়া এবং সংরক্ষিত মহিলা পদে ফরিদা ইয়াসমিন। শিক্ষকদের মধ্যে ফরম কিনেছেন তিন জন। facebook page
when make this options
ReplyDelete