Editors Picks

Monday, April 30, 2018

তিতাসে ঝড় তুফানে লন্ড-ভন্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি: বিদ্যুৎ বিছিন্ন

মোঃ জুয়েল রানা, তিতাস কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা তিতাস উপজেলায় হঠাৎ কাল বৈশাখী বৃষ্টিতে প্রচন্ড বাতাসে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সাধারন মানুষের ঘরবাড়ি লন্ড বন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে কয়েক লক্ষ টাকার পরিমান উপরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাধারণ ব্যক্তিরা জানান।
এদিকে তিতাস উপজেলার মাছিমপুর বাজারের ব্রিজ সংলগ্নে বিদ্যুৎ এর খুটি ভেংগে পড়ে ঝুকি মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে উপজেলার মাছিমপুর, কলাকান্দি, 



কতমতলী, কড়িকান্দি, পাঙ্গাশিয়া, বলরামপুর, ভিটিকান্দি, আসমানিয়া, ঐচারচর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান। অপর দিকে গাছ পালা ও বিদ্যুৎর খুটি ভেংগে পরে মাছিমপুর-বাতাকান্দি-রায়পুর যানচলাচল বন্ধ।
ছবি: মাছিমপুর বাজার এবং গ্রামের একাংশ।

Monday, April 16, 2018

দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান এর - উইকিপিডিয়া

জনাব তারেক রহমান ,বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব। তিনি তারেক জিয়া নামে বহুল পরিচিত; যার শেষাংশটি এসেছে তার পিতা বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত ও সর্বাধিক জনপ্রিয় সাবেক রাষ্ট্রপতি, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম থেকে।

★শিক্ষা জীবন :



জনাব তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। তার পিতা জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং মাতা দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তারেক ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ হতে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন। তবে অন্যান্য সুত্রে জানা যায়, তারেক রহমান রাজধানীর বিএফ শাহীন স্কুলে লেখাপড়া করলেও ১৯৮১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে।



১৯৮৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে আইন বিভাগে ও পরে লোক প্রশাসন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নিয়ে বস্ত্রশিল্প ও নৌ-যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেন। বর্তমানে তারেক রহমান লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশাস্ত্র পড়ছেন।

★রাজনৈতিক জীবন :



পিতা জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বগুড়া কমিটির সদস্য হিসেবে যোগদান করে জনাব তারেক রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে সংগঠনে যোগ দেয়ার পূর্বেই তারেক রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক তার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহচর হিসেবে সারা দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও তারেক রহমান মা বেগম জিয়ার প্রচারণা কার্যক্রমের পাশাপাশি পৃথক পরিকল্পনায় দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণা চালান। মূলত ২০০১ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে তারেক রহমানের সক্রিয় আগমন ঘটে l

২০০২ সালে তারেক রহমান দলের স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির একজন জেষ্ঠ্য যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্মপ্রাপ্ত হন। দলের উর্দ্ধতন পর্যায়ে নিয়োগ লাভের পরপরই তারেক রহমান দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেন।


মূল সংগঠন সহ সহযোগী সংগঠন যেমন জাতীয়তাবাদী যুব দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইত্যাদি আয়োজিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে তারেক রহমান কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ও মাঠপর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য ও মতামত গ্রহণ করেন।


মূলত এই জনসংযোগ কার্যক্রমের ফলে দলের নেতাকর্মীদের তরুণ অংশটির মাঝে তারেক রহমান শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানমন্ত্রীর সন্তানের পরিচিত থেকে বেরিয়ে এসে দলের একজন দক্ষ সংগঠক ও সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।


রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডের কারণে দেশে বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারী, ২০০৭ তারিখে নিয়মতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অপসারণ করে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় যার প্রধান ছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ এবং সেনাপ্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (পরে জেনারেল হিসেবে অবসর নেন) মঈন উদ্দীন আহমেদ। ১২ জানুয়ারী উপদেষ্টা পরিষদ নাম্নী একটি মন্ত্রীসভা গঠিত হওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়।
৭ মার্চ, ২০০৭ তারিখে একটি দূর্নীতি মামলার আসামী হিসেবে তারেক রহমানকে তার ঢাকা ক্যান্টমেন্টস্থ মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১৩টি দূর্নীতির মামলা দায়ের করা হয় ও তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়।


★আটকাবস্থায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ :



গ্রেপ্তারের কিছুদিন পর জনাব তারেককে আদালতে হাজির করা হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তার আইনজীবিরা আদালতে অভিযোগ করেন যে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে চিকিৎসকদের একটি দল পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আদালতকে জানায় যে তারেক রহমানের উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ যুক্তিযুক্ত। এই পর্যায়ে আদালত রিমান্ডে নেয়ার আদেশ শিথিল করে তা কমিয়ে ১ দিন ধার্য করেন ও জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের আদেশ দেন। এরপর তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিবর্তে ঢাকার শাহবাগস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

২৫ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে জনাব তারেক রহমান তার হাসপাতাল কক্ষে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ দেখা দেয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
★মুক্তিলাভ :



২০০৮ এর আগস্টে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলাগুলো আদালতে গতি লাভ করে। প্রায় আঠারো মাস কারান্তরীণ থাকার পর ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে সবগুলো মামলায় তারেক রহমানের জামিন লাভ করেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি লাভ করেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত।
চিকিৎসা ও লন্ডনে অবস্থান :



১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে বিশেষ কারাগার থেকে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুত্র তারেক রহমানকে দেখতে যেন। সেদিন রাতেই তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বর্তমানে লন্ডনের সাউথ ওয়েলিংটন হসপিটাল ও লন্ডন হসপিটালে তার চিকিৎসা চলছে এবং চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি কিংস্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন।

জনাব তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বর্তমানে অমীমাংসীত অবস্থায় রয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তার করা আবেদনের প্রেক্ষিতে, ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারী করে। এর প্রতিবাদে বিএনপি দেশের বিভিন্ন এলাকায় হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
★বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল :



৮ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তারেক রহমান সংগঠনের জেষ্ঠ্য ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উক্ত কাউন্সিলে তারেক রহমানের একটি ধারণকৃত বক্তব্য উপস্থিত জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়। বক্তব্যটিতে তারেক রহমান জানুয়ারী ২০০৭-এ ক্ষমতায় আসা অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে তার অন্যায় গ্রেপ্তার ও বন্দী অবস্থায় নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে আপাতদৃষ্টিতে মনে হওয়া বিচার বিভাগীয় ব্যাবস্থার আড়ালে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তারেক রহমান তার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দেন ও জানান তার চিকিৎসা সম্পন্ন হতে আরও সময় প্রয়োজন। এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার সময় উপস্থিতদের কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
উক্ত কাউন্সিলে আরও বক্তব্য রেখেছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য জর্জ গ্যালোওয়ে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রচারমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমূখ।
তারেক রহমানের নেতৃত্ব উত্তরাধিকার, অর্জন ও বৈধতা

তাত্ত্বিক ও ফলিত রাজনীতি বিজ্ঞান আলোচনায় নেতৃত্ব সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচিত হয়। নেতৃত্ব সাহিত্যে উত্তরাধিকার, অর্জন, সম্মোহন ইত্যাদি ধরনের নেতৃত্বের আলোচনা রয়েছে। যিনি মানবকল্যাণের লক্ষ্যে স্থিরকৃত লক্ষ্যার্জনের জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের পথ মানেন, সে লক্ষ্যে নিজেকে এবং সংগঠিত অনুসারীদের পরিচালনায় সক্ষম তিনিই হচ্ছেন সফল রাজনৈতিক নেতা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট জর্জ পম্পিডু বলেছিলেন : রাজনীতিক জাতিকে তার সেবায় নিয়োজিত রাখেন। আর রাষ্ট্রনায়ক জাতির সেবায় নিজেকে উত্সর্গ করেন।



সমকালীন বাংলাদেশের যুব রাজনীতিতে তারেক রহমান সবচেয়ে আলোচিত নাম। আগামী দিনের বাংলাদেশ-রাজনীতির কাণ্ডারি হিসেবেও তিনি হন বিবেচিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে তিনি উত্তরাধিকারভিত্তিক আত্মতুষ্টির যেমনি অংশীদার, তেমনি নিজ যোগ্যতা ও সাধনার বলে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী ও উদার ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী আপামর জনতার কাছে এরই মধ্যে সংগ্রামী ও ত্যাগী নায়ক হিসেবে গ্রহণীয় হয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, স্বাতন্ত্র্য ও আধিপত্যবাদবিরোধী জনতার সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অবিসংবাদিত ভবিষ্যত্ নেতা হিসেবেও তার আসন এরই মধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেছে।



সব যুগে সব দেশের রাজনীতিতে উত্তরাধিকার নানাভাবে কমবেশি কাজ করে থাকে। এ প্রভাব থেকে আধুনিক ও উন্নত দেশগুলোও সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে তো উত্তরাধিকার এখনও নেতৃত্বের অন্যতম নির্ধারক। উপমহাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে উত্তরাধিকারের জয়জয়কার চলছে। অনুন্নত বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর উত্তরাধিকারভিত্তিক রাজনীতি তখনই টেকসই ও গ্রহণীয়তা পায় যখন এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যক্তিগত যোগ্যতা, শ্রম আর সাধনা। নেহরু, বন্দরনায়েকে ও ভুট্টো পরিবারের সন্তানরা উত্তরাধিকার ও যোগ্যতার সমন্বয়ে দেশবাসী ও অনুসারীদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। সাধারণের কাছে নেতৃত্বের এ আবেদন ও জনপ্রিয়তা নেতাকে এনে দেয় বৈধতা। আর গণতান্ত্রিক সমাজে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্বই জনগণের কাছে স্বাভাবিকভাবে বরণীয় হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণ সাধনে সক্ষম হন।



অবারিত সুযোগ থাকলেও উত্তরাধিকার তারেক রহমানের রাজনীতির একমাত্র পাথেয় হয়নি। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে দল ও দেশের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে পর্যায়ক্রমে তিনি হয়ে উঠেছেন জননেতা। তার পিতা বীর উত্তম জিয়াউর রহমান যেমনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে কিংবদন্তিসম গৌরবময় ভূমিকাকেন্দ্রিক জনপ্রিয়তা অবলম্বন করে রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নেননি, বরং জাতির ক্রান্তিকালে বাধ্য হয়ে রাজনীতিতে এসেছেন—তেমনি তারেক রহমানও কেবল উপর থেকে আয়োজিত নেতা না হয়ে পর্যায়ক্রমে অনুসারীদের দ্বারা অনুরুদ্ধ হয়ে দল ও দেশের প্রয়োজনে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন। এ বাস্তবতা তারেক রহমানের মতো বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রেও ছিল সমাধিক প্রযোজ্য। শহীদ জিয়ার অবর্তমানে দল ও দেশের এক দুঃসময়ে বেগম খালেদা জিয়াকেও রাজনীতিতে আবির্ভূত হতে হয়েছে। রাজনীতিতে তাদের পদচারণা যেমনি সময়ের দাবি ছিল, ঠিক তেমনি সময়কেও পরবর্তীকালে নিয়ন্ত্রণে তারা হয়েছেন সক্ষম।



তারেক রহমান শহীদ জিয়ার আদর্শানুসারী একমাত্র রাজনীতিক, যিনি রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার সাধনায় নিয়োজিত। ‘আমার শিক্ষক’ নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, ‘যে সময় একজন কিশোরের পথ চলতে শেখার জন্য দরকার তার জীবনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য শিক্ষককে, অর্থাত্ তার বাবাকে; কিন্তু আমার এই শিক্ষকের কাছ থেকে সরাসরি বেশি কিছু শেখার অবকাশ হয়নি। তার প্রধান কারণ, আমাদের এই শিক্ষকের কাঁধে ন্যস্ত ছিল সেই সময়ে সমগ্র দেশ ও জনগণের গুরুদায়িত্ব। তাই পরবর্তী সময়ে আমাদের শিখতে হয়েছে এই শিক্ষকের রেখে যাওয়া সততা থেকে, শিখতে হয়েছে তার রেখে যাওয়া আদর্শ থেকে এবং সেসব কর্ম থেকে, যা তিনি একজন পিতা হিসেবে আমাদের দিয়ে করিয়েছেন, বলেছিলেন করতে, তা থেকে। তারই ছোট ছোট অনেক ঘটনা রয়েছে। ঘটনাগুলো বিচার করলে এর প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক।’



শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শ সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়ার অভিমত হচ্ছে : পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে মুসলিম লীগ নেতৃত্ব দিয়েছিল, কিন্তু পরে তারা যুগের চাহিদা মেটাতে পারেনি। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পুরোভাগে আওয়ামী লীগ ছিল। কিন্তু পরে তারা রাজনৈতিক দল হিসেবে সফল হতে ব্যর্থ হয়। সেই ব্যর্থতার পটভূমিতেই বিএনপির জন্ম। একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী রাজনীতি করার অঙ্গীকারে, সঙ্কটে, শান্তিতে, সংগ্রামে এ দল গত ৩১ বছরে নতুন রাজনীতির ধারা তৈরি করেছে। অনেক অভিজ্ঞতায় এ দল শিক্ষিত। অনেক শহীদের রক্তে আমাদের প্রতিজ্ঞা অটল হয়েছে। দ্বন্দ্ব-বিভাজন-সংঘাতের বিপরীতে আমরা জাতীয় ঐক্যের পতাকা উড্ডীন রেখে চলেছি। আমরা সব ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী-পেশার মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দাঁড়াব। বিশ্ব পরিসরে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সবার দিকে বাড়িয়ে দেব বন্ধুত্বের হাত। থাকব অনড়, অটল। ডান কিংবা বামপন্থী আমরা নই। আমাদের ডানে যাদের অবস্থান তারা ডানপন্থী, আমাদের বামে যাদের অবস্থান তারা বামপন্থী। আমাদের অবস্থান ডানপন্থীর বামে এবং বামপন্থীদের ডানে। আমাদের অবস্থান কেন্দ্রে এবং এদেশের রাজনীতির কেন্দ্র আমরাই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলই এ দেশের মূলধারা-বিএনপিই বাংলাদেশের জাতীয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান’ ★(‘ডানপন্থীর বামে বামপন্থীর ডানে’)।



শহীদ জিয়ার মতো তারেক রহমানও বিশ্বাস করেন, আদর্শনিষ্ঠ ও প্রশিক্ষিত নেতাকর্মীই রাজনৈতিক দলের প্রাণ। এ প্রসঙ্গে জিয়াউর রহমান লিখেছেন, ‘দলের আদর্শকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সর্বক্ষেত্রে কর্মসূচি এবং সেই কর্মসূচির বাস্তবায়ন রাজনৈতিক দলের জন্য অপরিহার্য। কারণ সংগঠন ছাড়া রাজনীতি করা যাবে না। কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে না। সংগঠনের ভিত্তি হবে তার আদর্শ। তাই পার্টির সংগঠনে যারা থাকবেন তাদের পার্টির আদর্শ অবশ্যই জানতে হবে। কেবল জানলেই চলবে না, সেটা সম্পূর্ণভাবে বুঝতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে। আমাদের দলে যারা রয়েছেন কর্মকর্তা, নেতৃবৃন্দ, যারা রয়েছেন কর্মী তাদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ জানতে হবে, বুঝতে হবে, বিশ্বাস করতে হবে এবং সেই বিশ্বাসে অনুভূত হয়ে আদর্শকে বাস্তবায়িত করতে হবে’
★(প্রশিক্ষিত কর্মীই রাজনৈতিক দলের প্রাণ)।



আদর্শনিষ্ঠ ও প্রশিক্ষিত নেতাকর্মী সৃষ্টির লক্ষ্যে জিয়াউর রহমান বহু কর্মী-প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করেছিলেন। মেধাবী, সত্ ও যোগ্য লোকদের দেশ গড়ার রাজনীতিতে উত্সাহী করতে গৃহীত হয়েছিল বহু কার্যক্রম। জিয়ার উত্তরসূরি তারেক রহমানও এ লক্ষ্যেই আয়োজন করেছেন বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় তৃণমূল সম্মিলন ইউনিয়ন প্রতিনিধি সভা। এভাবে তারেক রহমানও শহীদ জিয়ার পথ ধরে কেন্দ্র থেকে প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন বাংলাদেশকে জানতে—বাংলাদেশকে গড়তে। চেয়েছেন প্রান্ত দ্বারা কেন্দ্রকে করতে প্রভাবিত।
জিয়ার ন্যায় ‘ভিশন’ ও ‘মিশন’ অনুসারী তারেক রহমান তার স্বপ্নের বাংলাদেশকে দেখেছেন নিম্নোক্তভাবে : ’৭১-এর তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। শতকরা হিসেবে এই বৃদ্ধির হার যাই দেখানো হোক না কেন, ২০ বছর পরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২৫-৩০ কোটিতে পৌঁছতে পারে। ফলে বাড়তে পারে বেকার সমস্যা। মানুষ হয়তো বঞ্চিত হতে পারে খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিত্সার সমান সুযোগ থেকে। কমে যাবে চাষাবাদের জমি, অনেকের বসবাস করার মতো জায়গা থাকবে না। কিন্তু সুচিন্তিত পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এজন্য প্রথমেই দরকার শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার। শিক্ষিত বেকার সৃষ্টির পরিবর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বেরিয়ে আসবে কর্মঠ ও উপার্জনক্ষম তরুণ সমাজ। এদের মধ্য থেকে অনেকে যাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় সমৃদ্ধ হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। …ভবিষ্যত্ বাংলাদেশের যে গ্রাম আমি কল্পনা করি তাতে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা থাকবে। গ্রামবাসী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে নয়, বরং কাছাকাছি বাস করবে। যার ফলে বিদ্যুত্, গ্যাস, টেলিফোনসহ সব পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়। আমাদের শহর বা গ্রামের বাড়ি-ঘর ভার্টিক্যালি তৈরির জন্য সচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন। এক বর্গমাইলের মধ্যে পাঁচটি বাড়ি না করে ৫শ’ গজের মধ্যে ৫০টি বাড়ি গড়ে তোলা উচিত। ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশের মানুষ বসবাসের এ অভ্যাস গড়ে তোলে তাহলে সব উন্নত সামাজিক সুবিধা তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া সম্ভব। ফলে শহরের ওপর চাপ কমে আসবে। …ভূমির পরিমাণ কম হওয়ায় এদেশে বেশিসংখ্যক শিল্পস্থাপন করার তাগিদ রয়েছে। বস্তুত শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। …আমাদের সম্ভাব্য সমৃদ্ধি অনেকাংশে নির্ভর করছে আমাদের প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর আর বঙ্গোপসাগরের পানির নিচে থাকা সম্ভাব্য তেল সম্পদের ওপর। পরিকল্পিতভাবে আমাদের এসব সম্পদের সদ্ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। …একটি বিকল্প হিসেবে আমি সূর্যালোক ও বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুত্ উত্পাদনকে যথেষ্ট সম্ভাবনাময় মনে করি। এ প্রসঙ্গে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ওপর তাগিদ দিতে চাই। …পানির অপর নাম জীবন। পানিসম্পদের ব্যাপারে সতর্ক পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন। …আমাদের সীমান্তের বাইরে বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশে পানিসম্পদ বিপন্ন হতে চলেছে। বর্ষা মৌসুমে আমাদের অবশ্যই পানি ধরে রাখতে হবে। এবার আমি রাজনৈতিক প্রসঙ্গে আসতে চাই। কারণ কঠিন সত্য হলো ভেতরে যদি স্থিতিশীলতা না থাকে তাহলে কোনো ক্ষেত্রেই আশানুরূপ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য পরিচালিত দুই-দুটি যুদ্ধে বিজয় অর্জন করলেও বাংলাদেশ যে সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনীতির ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, …আমার বিশ্বাস, ২০২৫ সালের বাংলাদেশ হবে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অর্থনৈতিকভাবে সফল, উন্নত গণতান্ত্রিক একটি দেশ, যাকে অন্যরা শ্রদ্ধা করবে, যার দিকে বিশ্ববাসী সম্মানের সঙ্গে তাকাবে। এই হচ্ছে আমার এবং আমার প্রজন্মের সব বাংলাদেশী তরুণ-তরুণীর বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন (দৈনিক মানবজমিন আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তারেক রহমান প্রদত্ত বক্তব্য। ১১ ডিসেম্বর, ২০০৫)।



পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা গেছে যে, যুগে যুগে জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বকে নানাভাবে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চরম বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারেক রহমানও এর ব্যতিক্রম নন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, স্বাতন্ত্র্য ও জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় নিবেদিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ঐক্যের প্রতীক জিয়া পরিবারকে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ১/১১-পূর্ব ও পরবর্তীকালে ষড়যন্ত্রের নানা জাল বোনা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও দেশপ্রেমিক জনগণের সহায়তায় জিয়া পরিবার আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে সবলভাবে। দেশপ্রেমিক জনগণের প্রত্যাশা তারেক রহমান নিজ যোগ্যতায় হয়ে উঠবেন আরও উজ্জ্বলতর। জিয়া পরিবারের হিতৈষী এবং তারেক রহমানের শিক্ষক অকাল প্রয়াত প্রফেসর এ.ইউ.বি রাজিয়া আকতার বানু ১/১১-পরবর্তীকালে তারেক জিয়া সম্পর্কে লিখেছেন : তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে শারীরিকভাবে ধ্বংস করে চিরদিনের জন্য রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিতাড়নের চেষ্টা হয়েছিল। শুধু তারেক জিয়া নয়, যে কোনো মানুষের জীবনের জন্যেই এটি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। …জাতীয়তাবাদী রাজনীতি কোনোভাবেই একজন সফল ও বলিষ্ঠ তরুণ সংগঠকের সেবা বঞ্চিত হতে পারে না। তারুণ্য ২০০৯-এর নির্বাচনে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। বিএনপিকে ডিজিটাল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং ভবিষ্যত্ নির্বাচনের সুষ্ঠু প্রস্তুতির জন্য তারেক জিয়ার উপস্থিতি জরুরি। …সবচেয়ে বড় কথা হলো, বর্তমান বিএনপি নেত্রী যিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্যের প্রতীক, যিনি বিএনপিকে সংগঠিত করে এতদূর নিয়ে এসেছেন তিনি সব ধরনের সহায়তা স্বচ্ছন্দে তারেকের কাছ থেকে পেতে পারেন। …মাস্টারদের সমস্যা হলো সবাইকে ছাত্র মনে করা (তারেক আসলেই আমার ছাত্র) এবং কিছু উপদেশ দান করা। …যদি স্বাস্থ্য অনুমোদন করে তাহলে এই সুযোগে সে বড় বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জীবনী ও রাজনৈতিক তত্ত্ব পড়ে ফেলতে পারে। …নেহরু, ম্যান্ডেলা, জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিঙ্কন এমনকি ওবামা, গান্ধী, এডমন্ড বার্ক, প্লেটো, এরিস্টটল, হবস, লক, রুশোর লেখনী একজন রাজনীতিকের জ্ঞানকে অনেক সমৃদ্ধ করে। তার দূরদৃষ্টি চার দেয়ালের বাইরে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়, তাকে জ্ঞানসম্পন্ন করে এবং সুশাসনে উদ্বুদ্ধ করে। তাকে কৌশলী হতে হবে যেন অহেতুক বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। পরিবর্তিত, পরিশীলিত, জ্ঞানী, ধৈর্যশীল এক তারেক জিয়ার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন ঘটুক এটা বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ সংবাদ (জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও তারেক জিয়া)।



পৃথিবীর সব মানুষ সব যোগ্যতা ও সব সুযোগ সব সময় লাভ করে না। তারেক রহমান উত্তরাধিকার ভিত্তিতে প্রাপ্ত সুযোগ ও অর্জিত যোগ্যতার ওপর ভর করে এরই মধ্যে জাতীয়তাবাদী শক্তির আগামীদিনের বৈধ নেতার আসন অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও অভিজ্ঞ ও বিকশিত তারেক রহমান বাংলাদেশ গণতন্ত্রকে আরও উদার ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দানে সফল হবেন—তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরও স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও স্বাবলম্বনের দিকে এগিয়ে যাবে—এটিই দেশপ্রেমিক দেশবাসীর প্রত্যাশা।

Friday, April 6, 2018

রাজাকারের তালিকায় শীর্ষে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ ৪৬ জন রাজাকারের তালিকায় আঃলীগ নেতা।


আওয়ামী লীগ দলটি এমনই একটি দল এর জম্মই হয়ে ছিল অবৈধ দিয়ে যা আজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এতোই গান গায় মনে হয় আঃলীগই মুক্তিযুদ্ধ দল অথচ এ দলটিই সব চেয়ে বড় রাজাকারের দল। আঃলীগের শীর্ষ তালিকায় আছি যদি তাহলে সর্ব প্রথমে উঠে আসে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম সহ তার ছেলে শেখ কামাল রাজাকারের তালিকায় অন্তভূক্ত। শেখের পরিবার কেহত মুক্তিযুদ্ধ করেই নাই বরং পাকিস্তানের মাসিক বাতা নিত নিয়ম মতো এবং শেখ মজিবুর রহমান কখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নীই সে চেয়ে ছিল পৃর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাহলে রাজাকার কে??

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে বিরোধীজোট বিএনপি ও জামায়াতরে নেতাদের বিচার করছে রাজাকারের দল আওয়ামী লীগ। তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের কথিত স্বপক্ষ শক্তি দাবি করে অথচয় শেখ মজিবুর রহমান সহ শেখ কামাল রাজাকারের নামে তালিকায়ও নম্মর ওয়ান অথচয় আওয়ামী লীগের থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নিরব কি কারনে এ নিরব?? এদলটিতেও রয়েছে, কুখ্যাত রাজাকার, আল বদর, আল শামস, গণহত্যকারী, গণধর্ষণকারী, অগ্নিসংযোগাকরীসহ অসংখ্য স্বাধীনতাবিরোধী। আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় বক্তৃতায় বলেছেন, আওয়ামী লীগে রাজাকার থাকলে দেখিয়ে দেন-আমরা তাদের বিচার করব। আমাদের অনুসন্ধানে নিচে ৪৬জন আওয়ামী লীগের রাজাকারের তালিকা তুলে ধরা হলো এবং বিস্তারীত।

আওয়ামী লীগের এই ৪৬ জন যুদ্ধাপরাধী তাদের পরিবার কোন না কোনভাবে ৭১ সালে পাকিস্তান সরকার ও যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৭১ সালে মক্তিযোদ্বাদের হত্যাসহ নানা ধরনের মানবতবিরোধী অপরাধের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিলেন তারা।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম: ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের সদস্য। তার বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম নেজামে ইসলামি পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করার জন্য তার নেতৃত্বেই ঢাকায় প্রথম শান্তি কমিটি গঠন হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আল বদর ও আল শাসম বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসই স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর পাশাপাশি মু্ক্তিযোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রাজাকার ভাইয়ের মালিকাধীন প্রিন্টিং প্রেসে তিনি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে নেজামের ইসলাম পার্টির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালানোর জন্য ‘নেজামে ইসলাম’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। হাকিম অজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। শেখ মজিবুর রহামনসহ পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিয়ে তিনি এ পত্রিকায় ‘ইবলিশের দিনলিপি’ নামে প্রতি সপ্তাহে বিশেষ সম্পাদকীয় লিখেন। অ্যাডভোকেট কামরুল ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতেতে সক্রিয় হন। এর মধ্যে দিয়ে রাজাকার
পরিবারের গন্ধ হতে মুক্ত হতে চান তিনি। তার ব্যাপারে ‌‌’মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল’ শীর্ষক বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

লে.কর্ণেল (অব) ফারুক খান: পর্যটন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহীনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সুত্র: “দিনাজপুরের মক্তিযুদ্ধ” বই।

ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ফরিদপুর– ৩ আসনের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। তিনি শান্তি বাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্বাদের হত্যার জন্য হানাদার বাহিনীদের প্ররোচিত করেন। “ দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ” বইয়ের ৪৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তার পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন: ময়মনসিংহ ৬ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও
শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে গত বছরের ৪ এপ্রিল ট্রাইবুনাল ওয়ার ক্রাইম ফাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ডা, এম এ হাসানের দেয়া যুদ্ধাপরাধের তালিকায় (ক্রমিক নং-৭৩) উল্লেখ করা হয়েছে। যা গত ২২ এপ্রিল দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এ দিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্বে গত ৬ এপ্রিল ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও জোড়বাড়িয়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ময়মনসিংয়ের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী: আওয়মী লীগের সেকেন্ড ইন কমান্ড সংসদ উপনেতা ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর কাছে একজন আস্থাভাজন নেত্রী ছিলেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে ৮৮ জনকে পাকিস্তানের সামরিক সরকার আস্থাভাজন এন এন এ মেম্বার অব ন্যাশনাল এজেন্সী হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালে ৭ আগষ্ট পাকিস্তানের তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত ওই তালিকায় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নাম ছিল ৮৪ নম্বরে। জেনারেল রোয়াদেদ খান ওই দিন ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জানানো এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ভূমিকা পালন করার সুবাদে তিনি এ খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানা গেছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে এ তথ্য উল্লেখ আছে।
সৈয়দ জাফরউল্লাহ: আওয়ামী লীগের প্রেসেডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরউল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে কাজ করেছেন। মাসিক “সহজকথা” আয়োজিত যুদ্ধাপরাধের বিচার:বর্তমান প্রেক্ষাপট শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জাফরঊল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন। জাফর উল্লাহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানীদের পূর্ণ সমর্থন দেন। “মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান ” বইয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে।

মুসা বিন শমসের: গত বছরের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ প্রকাশ করে ফরিদপুরের নেতাদের কাছে প্রশ্ন করেন, শেখ সেলিম যে তার ছেলেকে ফরিদপুরের রাজাকার মুসা বিন শমসেরর মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন তার কথা কেউ বলছেন না কেন? এ খবর ২২ এপ্রিল আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মুসা বিন শমসের গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলের বেয়াই। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইডিং কমিটির আহবায়ক ডা: এম এ হাসান যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ৩০৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। সেখানে ফরিদপুর জেলায় গণহত্যাকারী হিসেবে মুসা বিন শমসের নাম রয়েছে। তিনি নিরীহ বাঙ্গালীদের গণহত্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং মুক্তিযোদ্দ্ধাদের হত্যাসহ নির্মম নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে।

মির্জা গোলাম কাশেম: জামালপুর–৩ আসনের সংসদ সদস্য, যুবলীগের লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকার দলীয় হুইপ মির্জা গোলাম আযমের বাবা। ১৯৭১ সালে মির্জা কাশেম জামালপুরের মাদারগঞ্জে শান্তি কমিটির জাদরেল নেতা ছিলেন। তিনি রাজাকার, আল-বদরদের গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে নারী ধর্ষণ ও লুটপাটের একাধিক অভিযোগ আছে। যা “জামালপুরের মুক্তিযুদ্ধ ( “১৯৮১ সালের সংস্বকরণ” বইয়ে উল্লেখ আছে। মির্জা কাশেম জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। প্রিয় নেতার নামানুসারে ছেলের নাম রাখেন মির্জা গোলাম আযাম।
Facebook page

Tuesday, March 27, 2018

সিলেটে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া ৪জনের সবাই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, বলছে RAB


সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) দুই শিক্ষার্থীসহ আটক চার জনের সবাই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে জানিয়েছে (RAB)-৯।
রবিবার রাতে নগরীর সুবিদবাজার এক্সেল টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি শর্টগান, ৭ রাউন্ড কার্তুজ, ২০০ পিস ইয়াবা ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেফতারকৃতদের সোমবার (২৬ মার্চ) সিলেট মহানগর কোতোয়ালি থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আবদুর রশীদ রাসেল শাবি ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী। অন্যরা সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সুনামগঞ্জ দোয়ারা বাজারের আফসর গ্রামের ফয়জুন্নুরের ছেলে আজমল হোসাইন (২৪)। সে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্র। সিলেটের গোলাপগঞ্জের মধ্য কানিশাইল গ্রামের আবছর আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ রাসেল (২৪)। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের ও শাহপরাণ হলের আবাসিক ছাত্র। ওসমানীনগরের থানাগাঁও দয়ামিরের সৈয়দ মইনুর রহমানের ছেলে সৈয়দ নাইমুর রহমান (২৫)। সে বর্তমানে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের মুগলিটুলা রোড়ের নূরানী ১৭/১ নং বাসায় থাকে। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার আলিপুর দেওনদি গ্রামের শেখ মোহাম্মদ বাবলার ছেলে শেখ মোহাম্মদ সুলতান মির্জা (২৭)।
সিলেট র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মনিরুজ্জামান জানান, গত রবিবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের আবাসিক ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে শাবি শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশীদ রাসেল। এছাড়া সৈয়দ নাইমুর রহমান ও শেখ মোহাম্মদ সুলতান মির্জা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে।
তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এক্সেল টাওয়ারের নীচ তলা থেকে প্রথমে শেখ মোহাম্মদ সুলতান মির্জাকে ২০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে টাওয়ারের ৪র্থ ও ৫ম তলায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ রাউন্ড কার্তুজ এবং দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃতদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে কক্ষ দখল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান নাঈমকে ছুরিকাঘাত করে আব্দুর রশিদ রাসেল। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আজমল হোসাইন। গুরুতর জখম হওয়া জাহিদ বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

'মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান নাই তারাই বড় কথা বলছে'


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধে যাদের কোনো রকম অবদান নেই তারাই আজ মন্ত্রী হয়ে বড় গলায় কথা বলছে। ওদের গলায় আজ অনেক আওয়াজ। যাদের এদেশের জম্মের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই তারাই আজ দেশ পরিচালনা করছে। এদের ব্যবহার চোরের মার বড় গলার মতো।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংস্থার (জাসাস) আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সত্যকে চাপা রাখা যায় না মন্তব্য করে এ সময় তিনি বলেন, আমরা জানি কারা কলকাতার আট নম্বর থিয়েটারে ছিলেন। আমরা যুদ্ধ করেছি। ১৯৭১ সালে কার কী অবদান তা ভালো জানি। আজ আর বলতে চাই না।
বেগম খালেদা জিয়াকে মাতৃত্ব, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার প্রাণপণে চেষ্টা করছে বিএনপি যেন নির্বাচনে না আসে। যদি সরকার তা না চাইতো তাহলে নির্বাচনের বছরই বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে কেন? আমরা বলছি নির্বাচনের জন্য পরিবেশ দরকার, সরকার তা না করে উল্টো নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করেছে বেগম খালদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে।
জিয়া বাংলাদেশকে ধব্বংসের কাছ থেকে ফিরিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, সরকার বিএনপিকে ভয় করছে, কোথাও সমাবেশ করতে অনুমতি দেয় না। সরকারের সাথে যারা আছেন, যাদের সাথে জনগণেরর সম্পর্ক নাই তারাই আজ সভা-সমাবেশ করার অনুমতি পায় কিন্তু বিএনপি পায় না। কারণ বিএনপির সাথে জনগণ আছে।
জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, তারা তাদের পরিচয় জানতে চায় যে তারা সরকারি দল নাকি বিরোধী দল! সংসদে সার্কস চলছে, তারা জানতে চায় আমাদের বলেন, তারা গরু নাকি খচ্চর!
Facebook page

Sunday, March 25, 2018

কুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত।

কুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিহত

কুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ১০ টার দিকে তিতাস উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ড হয়।
পুলিশ জানায়, ভাটিপাড়া এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেনের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।

এসময় তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় তারা। আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গৌরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে মৃত্যু হয় মনিরের। প্রাথমিকভাবে হত্যার কারণ জানা না গেলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ
facebook page

Saturday, October 7, 2017

কুমিল্লা তিতাস উপজেলার ৫নং কলাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন। কুমিল্লা তিতাস

কুমিল্লা তিতাস উপজেলার ৫নং কলাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন

কুমিল্লা তিতাসঃ

কুমিল্লা তিতাস উপজেলার ৫নং কলাকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন ক‌রে‌ছে তিতাস উপজেলা ছাত্রদল।গত ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকাল ৪টায় কলাকান্দি ইউ‌নিয়ন বাজারের ব্রাইট ফিউচার চাইল্ড স্কুল মাঠে  এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাইনুদ্দিন সরকার ও সাধারন সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর যৌথ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক‌মি‌টি ঘোষনা করা হয়।


বড় মা‌ছিমপুর গ্রা‌মের মোঃ মনির হোসাইন‌কে সভাপতি ও কলাকা‌ন্দি গ্রা‌মের  মাজহারুল ইসলাম টিপুকে সাধারন সম্পাদক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির বা‌কি সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিউল্লাহ খান, সহ-সভাপতি আদনান হাবিব, সি‌নিয়র যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরু কবি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন মিয়া।

Comments System

Disqus Shortname